আরবাঈনের শিক্ষা
ইমাম হুসাইনের (আ.) আন্দোলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যিয়ারাতে আরবাঈনে বলা হয়েছে: হে আল্লাহ। ইমাম হুসাইন তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যাতে করে আপনার বান্দাদেরকে অজ্ঞতা এবং পথভ্রষ্টতা, বিপথগামিতা ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
যে অজ্ঞতায় সেদিন মুসলিম উম্মাহ নিমজ্জিত ছিল তা হল সত্য ইমামকে না চেনা এবং বাতিল শাসকের আনুগত্যকে মেনে নেয়া। চেহলাম পালন আমাদের এ শিক্ষা দেয় যে আমাদেরকে বর্তমান সময়ের সত্যপন্থীদের চিনতে হবে। এরপর জামানার ইয়াজিদদের সনাক্ত করতে হবে যারা ইসলামের লেবাস পরে মুসলমানদের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয়েছে। এরপর এ গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে উম্মাহকে সচেতন করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশা তথা আরবাঈনের সময় এ মহান ইমামের (আ.) পবিত্র মাজার যিয়ারাত করার ফজিলত সম্পর্কে অনেক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে:
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: তোমরা প্রতিবছর হুসাইনকে জিয়ারত কর, কেননা রাসূল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি হুসাইনের মর্যাদাকে সঠিকভাবে বুঝে তাঁর যিয়ারাত করবে এবং তাঁর অনুসৃত পথের বিপরীত চলবে না তার জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত ছাড়া অন্য কোন বিনিময় রাখবেন না।
ফজর