মাসআলা (১১০১): দান ও উপহার বলে বিবেচিত হওয়াটা দাতার নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে। একারণে কেউ যখন পিতা, ভাই কিংবা কোনো স্বজনের নিকট থেকে যে খোরপোষ পায়, সেটা তখনই দান ও উপহার হিসাবে গণ্য হবে যখন দাতা ঐ দুটির নিয়্যাত করবে।
মাসআলা (১১০২): পিতামাতার পক্ষ থেকে কাউকে যেসব উপকরণাদি দেওয়া হয়, তাতে খুমস ধার্য হয় না। যদিও উক্ত উপকরণাদি তার প্রয়োজনীয় না হয় অথবা সাধারণ বিবেচনায় তার অবস্থার সাতে মানানসই না হয়। তবে হ্যাঁ, এরূপ দ্রব্যাদি উপহার দেওয়া যদি পিতামাতার অবস্থার বইরে হয়ে থাকে, তাহলে তা তাদের খোরপোষ বলে গণ্য হবে না এবং তার খুমস প্রদান করতে হবে।
মাসআলা (১১০৩): যে পিতা তার কন্যার বিবাহের উপঢৌকন হিসাবে একটি ফ্লাট দান করেছে, যদি কন্যাকে দানকৃত ফ্লাটের এ উপঢৌকন, সাধারণ বিচারে পিতার অবস্থার সাথে মানানসই হয় এবং খুমসবর্ষের মাধ্যেই দান করে থাকে, তাহলে তার খুমস প্রদান করা ওয়াজিব নয়।
মাসআলা (১১০৪): শ্রম, শহীদ ও পঙ্গুত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় শহীদদের প্রিয় পরিবারকে যেসব দ্রব্য উপহার প্রদান করে থাকে তাতে খুমস নেই। তবে তা হতে উপার্জিত লভ্যাংশ যদি বছরের জীবন নির্বাহের খরচাদির চেয়ে উদ্বৃত্ত হয়ে যায়, তাহলে খুমস ওয়াজিব হবে। অনুরূপভাবে শহীদ ফাউন্ডেশন কর্তৃক যেসব দ্রব্য শহীদদের সন্তানদেরকে উপহার দেওয়া হয়, তাতেও খুমস নেই। কিন্তু তা হতে অর্জিত লাভের থেকে যে অংশটুকু তাদের সাবালক বয়সে উপনীত হওয়া অবধি তাদের অধিকারে অবশিষ্ট থাকে, এহতিয়াত অনুসারে, তাদের প্রত্যেকেরই জন্য ওয়াজিব হলো সাবালক বয়সে উপনীত হওয়ার পর ঐ অংশের খুমস প্রদান করা।
মাসআলা (১১০৫): খুমস হতে পলায়নের নিয়্যাতে প্রক্সিস্বরূপ দান করা হলেও খুমস দিতে হবে। কাজেই যে স্বামী-স্ত্রী খুমসবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজের বাৎসরিক লভ্যাংশকে প্রক্সিস্বরূপ পরস্পরের মধ্যে দান করে, যাতে তাদের সম্পদে খুমস ধার্য না হয়, তাদের একে অপরকে যা কিছু দান করে, তার খুমস প্রদান করতে হবে। (এ কাজের মাধ্যমে তাদের উপর থেকে ওয়াজিব খুমস মওকুফ হয় না)।
সূত্রঃ রেসালায়ে মুস্তাখাব আল-আহকাম বই থেকে সংগ্রহীত
হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী (মুদ্দা যিল্লুহু )- এর ফতোয়া অনুযায়ী সংকলিত
