মাসআলা (১১০৬): উপহার ও দানের জিনিস বিক্রি করা টাকার উপর খুমস নেই। যদিও তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যদি না উক্ত জিনিসকে ব্যবসায়ের নিয়্যাতে এবং মূল্য বৃদ্ধির নিয়্যাতে সংরক্ষণ করে, সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের পরে, এহতিয়াতে ওয়াজিব অনুসারে, তার বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মূল্যের উপর খুমস প্রদান করতে হবে।
মাসআলা (১১০৭):কর্মচারীদের ঈদের বোনাসে (সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নগদ টাকা হোক বা কোনো পণ্যদ্রব্যই হোক) খুমস নেই। যদি তা খুমসবর্ষের শেষ অবধি তার কাছে অবশিষ্ট রয়ে যায় তবুও না। তবে হ্যাঁ, যদি পণ্য সামগ্রী অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে কর্মচারীদেরকে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে যেহেতু প্রকৃতপক্ষে পণ্য সামগ্রীর আংশিক সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এবং অপর অংশ অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে, একারণে অবশিষ্ট থেকে যাওয়া পণ্য সামগ্রীর যে অংশের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, সেই অংশের উপর খুমস প্রদান করা ওয়াজিব হবে।
মাসআলা (১১০৮);ব্যাংক, কর্জুল হাসানাহ ফান্ড ইত্যাদি কর্তৃক যেসব পুরস্কার গ্রাহকদের প্রদান করা হয়, তাতে খুমস নেই।
মাসআলা (১১০৯):ওয়াক্ফ সম্পত্তি (যেমন ওয়াক্ফ করা জমি)তে কোনোই খুমস নেই। এমনকি যদি খাস ওয়াক্ফ ও হয়ে থাকে তবুও না। তদ্রুপ তার ফলফুলুরি ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অংশেও কোনো খুমস থাকবে না।
মাসআলা (১১১০): শারয়ী অর্থকড়ি (যেমন: খুমস ও যাকাত), যা মারজাগণ কর্তৃক হাওযা ইলমিয়ায় দ্বীনি শিক্ষা অর্জনকারী সম্মানিত তালাবাদেরকে হাদিয়া দেওয়া হয়, তাতে খুমস নেই।
সূত্রঃ রেসালায়ে মুস্তাখাব আল-আহকাম বই থেকে সংগ্রহীত
হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী (মুদ্দা যিল্লুহু )- এর ফতোয়া অনুযায়ী সংকলিত
