মাসআলা (১১১১) : কেউ যদি তার বাৎসরিক আয় হতে কোনো টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবসা বা অন্য কোনা কাজে ব্যয় করে, যেমন: গুদাম খরচ, বহন খরচ, ওজন করার খরচ, দালাল খরচ ইত্যাদি, সেগুলো ঐ বছরের আয় হতে বাইরে থাকবে এবং তাতে খুমস নেই।
মাসআলা (১১১২) : যে সম্পদের একবার খুমস পরিশোধ করা হয়েছে, তাতে আর খুমস ধার্য হবে না। কাজেই তা যদি নতুন বছরে খরচ না হয় এবং অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তাতে পুনরায় খুমস দিতে হবে না।
মাসআলা (১১১৩) : বীমা কোম্পানিসমূহ বীমাকারী ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ বা চিকিৎসা খরচ ইত্যাদি বাবদ তাকে যে টাকা প্রদান করে, তাতে খুমস নেই।
মাসআলা (১১১৪) : উচ্চতর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে যে শিক্ষা ভাতা দেওয়া হয়, তাতে খুমস নেই। তবে হ্যাঁ, স্কলারশিপ প্রাপ্ত হয়েছে এবং ঐ ছাত্র আমল থেকে বেতন পায়, তাদের বেতনে খুমস ধার্য হবে।
মাসআলা (১১১৫) : যে টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয় তাতে খুমস নেই। তবে ঐ অংশের টাকা বাদে, যা খুমসবর্ষের শেষ অবধি ব্যবসায়ের মুনাফা হতে পরিশোধ করা হয়েছে। কাজেই যদি কোনো ব্যক্তি কিছু টাকা ঋণ নেয় এবং ঐ বছরের আগে পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে তার খুমস দিতে হবে না। কিন্তু যদি বছরের আয় হতে ঐ ঋণের কিস্তিসমূহ পরিশোধ করে থাকে আর সে যে টাকা ঋণ নিয়েছে সেই মূল টাকা খুমসবর্ষ পূর্ণ হওয়ার অবধি তার কাছে অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে সে ঐ টাকা হতে যে পরিমাণ টাকার কিস্তি পরিশোধ করেছে, সেই অনুপাতে খুমস প্রদান করা ওয়াজিব।
সূত্রঃ রেসালায়ে মুস্তাখাব আল-আহকাম বই থেকে সংগ্রহীত
হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী (মুদ্দা যিল্লুহু )- এর ফতোয়া অনুযায়ী সংকলিত
