ভাইয়ের অধিকার অর্থ: তোমার ভাইয়ের অধিকার হচ্ছে এই যে, তোমাকে জানতে হবে যে, সে হচ্ছে তোমার হাত (শক্তি), তোমার সম্মান ও তোমার শক্তি। সুতরাং তাকে আল্লাহর অবাধ্যতায় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করো না এবং তাকে আল্লাহর সৃষ্টির উপর অত্যাচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করো না! আর তাকে তার শত্রুর মোকাবেলায় সাহায্য কর এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হও! অবশ্য যদি সে আল্লাহর অনুগত্যের পথে থাকে তবে তার সঙ্গে এরূপ আচরণ করবে; তা না হলে আল্লাহকে তার উপর প্রাধান্য দেবে। আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো শক্তি নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন: হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক ধারণা করা হতে বেঁচে থাক! নিশ্চয় কতক ধারণা গুনাহ। আর তোমরা (মানুষের) গোপন বিষয় সন্ধান করো না! তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে! তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর! নিশ্চয় আল্লাহ্ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। ( সূরা: হুজুরাত, ১২তম আয়াত।)
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে: রসুল (সা.) বলেন: তোমার ভাইকে সাহায্য কর – চাই সে অত্যাচারী হোক কিংবা অত্যাচারিত। জিজ্ঞেস করা হল: কিভাবে অত্যাচারীকে সাহায্য করব? তিনি (সা.) বললেন: তাকে অত্যাচার হতে বাধা দাও।
মহানবী (সা.) বলেন: এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই; সে কখনই তার উপর অত্যাচার করে না; তার সহযোগিতা হতে হাত গুটিয়ে নেয় না এবং তার দুর্দিনে তাকে ত্যাগ করে না।
সূত্র : ( ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর রিসালাতুল হুকুক (অধিকার বিষয়ক সন্দর্ভ )