উম্মে আইমান ছিলেন একজন সম্মানীয় ও উত্তম স্বভাবের নারী ; হুনায়ন যুদ্ধে যার সন্তান আইমান শাহাদাতবরণ করেন।
মহীয়সী এ নারীর গৌরবের বিষয় ছিল এই যে, তিনি ছিলেন হযরত ফাতেমা যাহরা’র (সা.) একজন শিষ্য ও দাসী।
হযরত যাহরা’র (সা.) শাহাদাতের পর উম্মে আইমান এতই মানসিক অশান্তিতে ছিলেন যে, মদিনাতে আর থাকতে পারেননি; কারণ, হযরত যাহরা’র খালি জায়গার প্রতি দুঃখভরা দৃষ্টিতে কিভাবে তাকাবেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, মক্কাতে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আল্লাহ’র ঘরের পাশে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন।
তিনি তৈরি হয়ে মক্কার দিকে রওনা দিলেন। পথিমধ্যে মরুভুমিতে পানির পিপাসা অনুভত হয়। যা পানি সাথে ছিল সবই শেষ। খুবই পিপাসার্ত অবস্থাতে মৃত্যুর মুখোমুখি হন। এমতাবস্থায় নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে এভাবে দোয়া করলেন: হে আমার প্রতিপালক! আমি হযরত ফাতেমা যাহরা’র (সা.) দাসী তারপরও কি আমাকে পিপাসার্ত মেরে ফেলবে?
দোয়া শেষ হতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আকাশ থেকে তাঁর জন্য এক বালতি পানি পাঠালেন। তিনি সেই পানি পান করলেন। তারপর সাত বছর তিনি ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত হননি। এমন কি মরুভুমিতেও জনগণ তাঁকে দেখেছে যে, গ্রীষ্মকালের গরমেও তিনি পিপাসিত হননি। (বিহারুল আনওয়ার, ৪৩তম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮)।
হযরত ফাতেমা যাহরা’র (সা.) দাসী’র এক অলৌকিক ঘটনা
263