মানুষের নৈতিক চরিত্র যত বেশি সুন্দর ও প্রশস্ত হবে, তার রিজিকও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে!
আমিরুল মুমিনিন ইমাম আলী (আ.) বলেছেন, উত্তম চরিত্রের প্রশস্ততায় রিজিকের ভান্ডার নিহিত রয়েছে (অর্থাৎ উত্তম ও সুন্দর চরিত্র ও আচরণেই লুকিয়ে আছে রিজিকের অফুরান ধন)। [উসুলে কাফি, খন্ড- ৮, পৃষ্ঠা- ২৩৪৩৩]
প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা: আমিরুল মু’মিনিন ইমাম আলী (আ.) এই হাদিসে সুন্দর আখলাক বা নৈতিক চরিত্রকে রিজিক বৃদ্ধির একটি গোপন চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখানে “সা’আতুল আখলাক” বা ‘নৈতিক চরিত্রের প্রশস্ততা’ বলতে শুধু বাহ্যিক ভদ্রতা নয়, বরং অন্তরের প্রশস্ততা, ক্ষমা, দয়া, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানুষের প্রতি সদয় আচরণকে বোঝানো হয়েছে।
শিক্ষা ও প্রয়োগ:
১. সদাচরণে রিজিক বাড়ে:
– রাসূল (সা.) বলেছেন, “সদাচার রিজিক বাড়ায় ও আয়ু বৃদ্ধি করে।” (আল-হাদীস)
– উদার আচরণ, মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি ও সেবার মনোভাব আল্লাহর রহমত টানে।
২. ক্ষমা ও ধৈর্য:
– ক্রোধ সংবরণ ও অন্যায়ের জবাবে উত্তম আচরণ (ইহসান) রিজিকের দরজা খুলে দেয়।
– ইমাম আলী (আ.)-এর জীবনই এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্তÑতিনি শত্রæকেও ক্ষমা করতেন।
৩. সততা ও আমানতদারিতা:
– ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা, ওজন পূর্ণ দেওয়া ইত্যাদি রিজিক বরকতময় করে (সূরা হুদ ১১:৮৫)।
৪. দান ও উদারতা:
– দান-খয়রাত রিজিক বাড়ায় (সূরা বাকারা ২:২৬১)।
– দয়া দেখালে আল্লাহ দয়া করেন, গরিবের সাহায্য করলে আল্লাহ বিপদে সাহায্য করেন।
উপসংহার: এই হাদিস আমাদের শেখায়“রিজিক শুধু হালাল উপার্জনে নয়, বরং হালাল তথা উত্তম চরিত্র ও আচরণেও নিহিত।” সুন্দর চরিত্র গঠন, মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আখলাক উন্নত করাই হলো সফলতার মূল চাবিকাঠি।
সুন্দর আচরণেই লুকিয়ে আছে রিজিকের অফুরান ধন
193
আগের পোস্ট