যদি তুমি পবিত্র হতে চাও এবং অযু করতে চাও , তাহলে পানির কাছে সেভাবে যাও যেভাবে তুমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রহমতের কাছে যেতে চাইতে , কারণ তিনি পানিকে তাঁর সাথে নিবিড় কথোপকথনের জন্য তাঁর কাছে যাবার চাবি বানিয়েছেন এবং একে করেছেন তাঁর দাসত্বের রাজ্যে প্রবেশ করার পথপ্রদর্শক হিসাবে। ঠিক যেভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রহমত তাঁর বান্দাহদের অন্যায় কাজগুলোকে ধুয়ে মুছে দেয় , ঠিক সেভাবেই বাইরের অপবিত্রতাগুলো পরিষ্কার হয় একমাত্র পানি দিয়ে। যেভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ
‘‘ তিনি বাতাসকে পাঠান সুসংবাদ হিসাবে তাঁর রহমতের আগে এবং আমরা আকাশ থেকে পবিত্র পানি বর্ষণ করি।’’ (সূরা ফুরকানঃ ৪৮)
অন্য জায়গায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ
‘‘ আমরা প্রত্যেক জীবিত প্রাণীকে সৃষ্টি করেছি পানি থেকে। তাহলেও কি তারা বিশ্বাস করবে না ?’’ (সূরা আম্বিয়াঃ ৩০)
যেভাবে তিনি জীবন দেন প্রত্যেক নেয়ামতকে পানি থেকে , সেভাবেই তাঁর রহমত এবং উপচে পড়া দানের মাধ্যমে তিনি জীবন দেন অন্তরকে এবং আনুগত্যের কর্মকান্ডকে এবং এ চিন্তাভাবনাকে যে , পানির পবিত্রতা , এর পেলবতা , এর পরিচ্ছন্নতা , এর উপকারিতা এবং কীভাবে তা সব কিছুর সাথে নিরবে মিশে যায় ; পানির মাধ্যমে তিনি অন্তরকে জীবন দেন যখন তুমি তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পবিত্র কর যেগুলোকে পবিত্র করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তোমাকে আদেশ করেছেন এবং যেগুলোকে তুমি ব্যবহার কর ফরজ ও সুন্নাত নামাযের সময়।
প্রত্যেক অঙ্গ থেকে আসে অনেক উপকারিতা। যখন তুমি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবে তখন তাদের উপকারিতা তোমার জন্য শীঘ্র উথলে উঠবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সৃষ্টির সাথে আচরণ কর পানির মত যা সব জিনিসের সাথে মিশে যায় এবং যা প্রাপ্য তার সব দিয়ে দেয় অথচ তার মূল সত্তায় কোন পরিবর্তন ঘটে না। এ জিনিসটি প্রকাশ পেয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কথায়ঃ‘‘ আন্তরিকভাবে বিশ্বাসী ব্যক্তি হলো পানির মত।’’ তোমার সব আনুগত্যে আল্লাহর সাথে তোমার পবিত্রতাকে সেই পানির পবিত্রতার মত করে নাও যা তিনি আকাশ থেকে বর্ষণ করেছেন এবং একে পবিত্র আখ্যা দিয়েছেন। তোমার অন্তরকে পবিত্র করো সতর্কতা ও ইয়াক্বীন দিয়ে যখন তুমি তোমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পবিত্র কর পানি দিয়ে।