হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.) এর যিয়ারত সম্পর্কে একাধিক রেওয়ায়েত পবিত্র ইমাম (আ.) গণ থেকে বর্ণিত হয়েছে। উক্ত রেওয়ায়েত দ্বারা আমরা হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.)-এর সম্মান এবং মর্যাদা সম্পর্কে অবগত হতে পারি। তাঁর যিয়ারত সম্পর্কে যে রেওয়ায়েতগুলো বর্ণিত হয়েছে তা মাসুম ইমাম (আ.) গণ ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে খুব কমই বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তাঁর যিয়ারত সম্পর্কে কয়েকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা হলো:
১. হযরত মোহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: যদি কেউ আমার অথবা আমার সন্তানদের মধ্যে হতে একজনের যিয়ারত করে তাহলে কেয়ামতের দিন আমি তার সাথে সাক্ষাত করবো এবং তাকে কেয়ামতের ভয়-ভীতি থেকে পরিত্রাণ দান করবো। (কামেলুয যিয়ারত, পৃষ্ঠা ১১)
২. ইমাম জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন: আমাদের কাছে পবিত্র স্থানসমূহের মধ্যে কোম হচ্ছে অন্যতম। অচিরেই আমার সন্তানদের মধ্যে একজন মহিয়সী নারীকে সেখানে দাফন করা হবে যার নাম হবে ফাতেমা। যেই ব্যক্তি তার যিয়ারত করবে সে হবে বেহেশতবাসী।(বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ১০২, পৃষ্ঠা ২৬৬)
৩. ইমাম রেযা (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.)-এর যিয়ারত করে তাহলে সে বেহেশতবাসী হবে।( বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ১০২, পৃষ্ঠা ২৬৫, কামেলুয যিয়ারাত, পৃষ্ঠা ৫৩৬, হাদীস নং ৮২৬, সাওয়াবুল আমাল, পৃষ্ঠা ১২৪, উয়ুনে আখবারে ইমাম রেযা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৬৭ )
৪. ইমাম রেযা (আ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন: যদি কেউ হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.)-এর যিয়ারত করে তাহলে তার অবস্থা হবে এমন যে সে হক্ককে চিনতে পেরেছে এবং সে হবে বেহেশতবাসী। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ১০২, পৃষ্ঠা ২৬৬)
৫. ইমাম জাওয়াদ (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কেউ যদি ‘কোমে’ আমার ফুফুর যিয়ারত করে তাহলে সে হবে বেহেশতবাসী।(কামেলুয যিয়ারাত, পৃষ্ঠা ৫৩৬, হাদীস নং ৮২৭)
৬. ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন: মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট পবিত্রতম স্থান হচ্ছে কাবা শরীফ। রাসুল (সা.)-এর কারণে মদীনার পবিত্রতা এবং সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুরূপভাবে ইমাম আলী (আ.)-এর কারণে কুফা এবং আমাদের আহলে বাইত (আ.) গণের কাছে পবিত্রতম স্থানসমূহের মধ্যে কোম হচ্ছে অন্যতম কেননা অচিরেই সেখানে আমার সন্তানদের মঞ্চে হতে একজন কন্যাকে দাফন করা হবে যার নাম হবে ফাতেমা। আর যে তার যিয়ারত করবে সে হবে বেহেশতবাসী। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৮, পৃষ্ঠা ৩১৬, ৩১৭)