ইসলাম মানবজীবনের মর্যাদা, ন্যায় এবং সৎকর্মকে সর্বোচ্চ মূল্য দেয়। কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, মানব প্রাণকে অকারণে ক্ষতি বা হত্যা করা সম্পূর্ণভাবে হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“যে ব্যক্তি একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন নাশ করে, তা যেন সমস্ত মানবজাতিকে হত্যা করেছে।” (সূরা মায়িদা, ৫:৩২)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, নিরীহ মানুষের উপর আঘাত বা হত্যা করা আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আত্মহত্যা করাও ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, সে চিরস্থায়ী নরকদন্ডে থাকবে।”
ইসলাম কিছু ক্ষেত্রে শাস্তি বা হত্যাকে বৈধ স্বীকার করেছে, তবে তা সম্পূর্ণভাবে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, যুক্তি ও ন্যায়ের ভিত্তিতে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ অপরকে হত্যা করে এবং আদালতে তা প্রমাণিত হয়, তখন মৃত ব্যক্তির পরিবার ইসলামের বিধি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ, অর্থদন্ড বা ক্ষমার অধিকার রাখে। এটি ইসলামের ন্যায়পরায়ণতার একটি নিদর্শন।
ইসলাম শুধুমাত্র হত্যা নয়, বরং অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতিও কঠোর। কোরআনে বলা হয়েছে:
“অত্যাচারীর সহ্য করা এবং সহ্য করার অনীহা উভয়ই হারাম।” (সূরা হুদ, ১১:১১৭)
ইসলাম মানবিক ও সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করতে চায়। ইসলামী শাসনব্যবস্থা সব ধরনের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের উদাহরণটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দারিদ্র্য ও অত্যাচারের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি ও ন্যায়পরায়ণতা।
বিশ্বশক্তিগুলি, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো, কখনো এই দেশের ইসলামী নীতি ও মজলুমদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা মেনে নিতে পারে না। তবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বারো ইমামের শিক্ষার আলোকে পরিচালিত হচ্ছে এবং রাসুল (সা.)এর সীরাত অনুযায়ী ন্যায় ও সহানুভ‚তির পথে অটল।
সুতরাং, ইসলামের আলোকে দেখা যায়, হত্যাকান্ড, আত্মহত্যা, অন্যায় অত্যাচার এসব সম্পূর্ণ হারাম। মানবজীবনের মর্যাদা রক্ষা, দারিদ্র্য ও শোষিতদের সহায়তা, এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা ইসলামের মূল চেতনা। ইরানের ইসলামী বিপ্লব এটি প্রতিফলিত করে এবং বিশ্ব মুসলিমদের জন্য এক শিক্ষণীয় উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
10
আগের পোস্ট