নবী (সাঃ) বলেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে আমার আহলে বায়েতের উদাহরন হল আকাশের নক্ষত্র বা তারার মত । যখন এদের একটি অস্ত যাবে তখন অন্যটি উদিত হবে ।
যাঁরা হলেন পুতঃপবিত্র ইমাম’গন- পথ প্রর্দশনকারী এবং পথপ্রাপ্ত ।
না তাঁদের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র আর না তাঁদেরকে সাহায্য করতে অস্বীকারকারীর সাহায্যের প্রত্যাখ্যান তাঁদের ক্ষতি করবে । বরং মহান আল্লাহ তাদেরই ক্ষতি করবেন যারা তাঁদের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করে এবং সাহায্য করতে অস্বীকার করে ।
তাঁরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রমানসমূহ ও কর্তৃপক্ষ এবং সকল সৃষ্টিসমূহের উপর তাঁর সাক্ষ্যসমূহ ।
যে তাঁদের আনুগত্য করল প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহরই আনুগত্য করল আর যে অবাধ্য হল সে আল্লাহরই অবাধ্য হল ।
তাঁরা কোরআনের সাথে এবং কোরআন তাঁদের সাথে ।
কোরআন হচ্ছে নির্বাক গ্রন্থ এবং তাঁরা হচ্ছেন সবাক কোরআন ।
না তাঁরা কোরআন থেকে বিছিন্ন হবে আর না কোরআন তাঁদের থেকে বিছিন্ন হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তাঁরা হাউযে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হয় ।
সর্বপ্রথম ইমাম হল আমার ভাই ইমাম আলী, যে তাঁদের মধ্যে সর্বোত্তম , এরপর আমার সন্তান হাসান এবং এরপর আমার সন্তান হুসাইন ও এরপর হুসাইন এর পুত্রদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে নয় জন ।
সূত্রঃ আল-গাইবাত লিল নুমানী, ৮৪/১২ ; কিতাবে সুলাইম ইবনে ক্বাইস, ২/ ৬৮৬/ ১৪ ; ফাযায়িল লি শাযান ইবনে জিবরাঈল, ১১৪ ।
এ প্রসংগে নবী (সাঃ) আরও বলেন যে, ‘আমার আহলে বাইতের অবস্থানকে দেহের সাথে মাথা এবং মাথার সাথে দুটো চোখের মত গন্য কর । কারন দেহ পথ পাবে না মাথা ছাড়া এবং মাথা পথপ্রাপ্ত হবে না দুটো চোখ ছাড়া ।
সূত্রঃ আমালী আত তুসী, ৪৮২/ ১০৫৩ ; কাশফুল গুম্মাহ, ২/ ৩৫ ।
আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি :
‘যে ব্যক্তি (ইমামের) আনুগত্য হাত গুটিয়ে নেবে সে (কিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহকে সাক্ষাৎ করবে এমতাবস্থায় যে, তার কোন হুজ্জাত (নাজাতপ্রাপ্তির দলিল বা উপায়) বিদ্যমান থাকবে না। আর যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে এমতাবস্থায় যে, তার গর্দানে কোন বাইয়াত নেই (অর্থাৎ সে ইমামের বাইয়াত ও আনুগত্য করেনি) সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করবে।’ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ, হাদীস নং-৩৪৪১)
